মন্দির ভাঙ্গা, অপবিত্র করা বা মূর্তি লুঠের ঘটনা শুধু যে ভারতের মধ্যযুগের ইতিহাসে মুসলিম শাসনে হয়েছে এমন নয়, প্রাচীন ভারতের হিন্দু রাজাদের সময়েও এই ঘটনার বহু উধাহরণ পাওয়া যায়। হিন্দু রাজারা অন্যের রাজ্য দখল করার সাথে সাথে সেই রাজ্যের মন্দির কে ধ্বংস করে দেওয়া বা সেই রাজার প্রধান দেবতার মূর্তিকে লূঠকরা বা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া পর্যন্ত কোন কিছুই বাদ দেন নি।কেউ কেউ সেই মূর্তিকে নিজের রাজ্যে নিয়ে গিয়ে মন্দির তৈরী করে প্রতিষ্ঠা করেছেন আবার কেউ কেউ যুদ্ধ জয়ের প্রতিক হিসাবে ( like a war trophy) নিজের রাজ্যের জনগনের কাছে তাঁর বীরত্বের সুখ্যাতি গেয়েছেন। ঐতিহাসিক Richard H Davis professor of Religion and Asian Studies, Bard College, Indian Art Objects as Loot, নামক প্রবন্ধে তথ্য দিয়ে দেখিয়েছেন কিভাবে প্রাচীন ভারতের রাজারা একে অপরের মন্দির বা দেবতাকে লুঠ করতেন। আর এক জন ঐতিহাসিক Richard M Eton তিনি তাঁর Temple desecration and Muslim state in Mediaval india গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন “It also true that attacks on Images patronized by enemy king had been from about the six century AD on thoroughly integrated into Indian political behavior.”1 অর্থাৎ পারাজিত রাজ্যের রাজকীয় দেবতার মূর্তি লুঠের ঘটনা শুধু মাত্র মধ্যযুগের ভারতে হয়েছে এমনটা নয় এই ইতিহাস ভারতের প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা এক অবিচ্ছিন্ন ঘটনা।প্রাচীন ভারতে হিন্দু শাসকরা বিধর্মী বৌদ্ধদের উপর যে অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছেন, অসংখ্য বৌদ্ধ মূর্তি, স্তুপ আক্রমণ করে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং বৌদ্ধ সন্নাসীদের নির্বিচারে হত্যাকরা এই রকম অসংখ্য উধাহরণ আছে। ঐতিহাসিক D.N . jha – Against the grain notes on identity, intolerance and history গ্রন্থে এই সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। এখানে আমরা হিন্দু শাসকদের এই রকম কিছু ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
পতঞ্জলি তিনি তাঁর মহাভাষ্য গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, “shraman And Brahmanas are eternal enemies like snake and mongoose’’. বৌদ্ধ গ্রন্থ দিব্যদানে বর্ণনা করা হয়েছে পুষ্যমিত্র শুঙ্গ ছিলেন এক বড় বৌদ্ধ নির্যাতনকারী তিনি একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করতে পারলে ১০০ দিনার পুরষ্কার দেওয়ার কথা ঘোষনা করছিলেন। চিনা পর্যটক হিউয়েন সাং যিনি শশাঙ্কের আমলে ভারতে ছিলেন তিনি তাঁর গ্রন্থ ‘সি ইউ কি’ তে বর্ণনা করেছেন যে বৌদ্ধগয়াতে যে বোধীগাছটি ছিল শশাঙ্ক সেটা কেটে ফেলেছিলেন এবং বুদ্ধের মূর্তীটিকেও সেখান থেকে সরিয়ে ফেলেছিলেন। আর এক শাসক মিহির কুলের নাম আমরা সবাই জানি, যিনি শিবের উপাসক হিসাবে পরিচিত। তিনি তাঁর শাসন কালে কয়েক হাজার বৌদ্ধ সন্নাসী-সন্নাসিনী কে হত্যা করেছিলেন এবং প্রায় ১৬০০ বৌদ্ধ স্তুপকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন। কাশ্মীরের রাজা ক্ষেমাগুপ্ত (৯৫০-৮)যিনি শ্রীনগরের জয়েন্দ্র বৌদ্ধ বিহার ভেঙ্গে দিয়েছিলেন এবং সেই জিনিস দিয়েই কাছেই একটা মন্দির নির্মান করতে কাজে লাগিয়েছিলেন। মগধের কলচুরী রাজা কর্ণ( ১১ শতক) তিনি ও বহু বৌদ্ধ মন্দির ও বিহার ধ্বংস করেছিলেন। পুষ্যমিত্র শুঙ্গ যিনি পাটলিপুত্রের অশোকস্তম্ভ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। এবং এই শুঙ্গদের রাজত্ব কালে বিখ্যাত সাঁচীর বৌদ্ধ স্তুপ ধ্বংস করা হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশের বিদিশার কাছে খাজুরাহো যা বর্তমানে বিখ্যাত মন্দির শহরে পরিনত হয়েছে খ্রিষ্টিয় দশম শতকে চান্দেল্লদের রাজত্বের সময় থেকে। তার আগে এই জায়গা বৌদ্ধ তীর্থস্থানের জন্য বিখ্যাত ছিল। একই ভাবে উত্তর প্রদেশের মথুরা বর্তমানে মন্দির শহরের জন্য বিখ্যাত এর আগে এখানের ভূতেশ্বর ও গোকরনেশ্বর প্রকৃত পক্ষে ছিল বৌদ্ধ কেন্দ্র। ‘সারনাথ’ বিখ্যাত বৌদ্ধকেন্দ্র, যেখানে গৌতম বুদ্ধ প্রথমে তাঁর শিষ্যদের উদ্দেশ্যে প্রথম ধর্মীয় দীক্ষা দিয়েছিলেন সেই জায়গা ও ব্রাহ্মনদের দ্বারা ধ্বংস হয়েছিল। উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর জেলায় প্রায় ৪৯ টি বৌদ্ধ কেন্দ্র ধংশ করেছে ব্রাহ্মনদের রাজত্ব কালে। আমাদের রাজ্যে বাঁকুড়া জেলার সিদ্ধেশ্বর মন্দির তৈরী হয়েছিল একটি বৌদ্ধ স্তুপ ভেঙে তার উপর। একই ভাবে বর্তমানে উড়িশ্যার পুরীর জগন্নাথের মন্দির ও তৈরী হয়েছিল এক বৌদ্ধ কেন্দ্রের উপর। পৃথিবী বিখ্যাত ইলোরার গুহাচিত্রে রাষ্ট্রকুটদের সময়ে বৌদ্ধদের কেন্দ্রের উপরেই ব্রাহ্মনদের মন্দির নির্মাণ হয়েছিল।
৮৩৫ সালে পাণ্ড রাজা শ্রীমারা শ্রীবল্লভ শ্রীলঙ্কা আক্রমণ করেন। সেই সময় শ্রীলঙ্কার রাজা ছিলেন প্রথম সেনা। তিনি পাণ্ড সেনাবাহিনী কে প্রতিহত করতে না পেরে রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। পান্ড সেনারা রাজধানী লুঠ করার সাথে সাথে সেখানকার রাজকীয় প্রাসাদ ও বৌদ্ধ মঠ লুঠকরে বিখ্যাত সোনার বৌদ্ধ মূর্তিকে ও লুঠ করে নিয়ে এসেছিলেন।কিন্তু পাণ্ড রাজার এই কাজ শ্রীলঙ্কার মানুষ তথা পরবর্তী রাজা কোন ভাবেই তা মেনে নিতে পারেনি। রাজা প্রথম সেনার মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেন তারই ভ্রাতুস্পুত্র দ্বিতীয় সেনা। তিনি সিংহাসনে বসেই তাদের প্রিয় দেবতার সোনার বৌদ্ধ মূর্তিকে ফিরিয়ে আনার জন্য পাণ্ড রাজ্য আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিলেন। সেই সময় চোল ও চালুক্যদের সাথে দ্বন্দে পাণ্ড রাজ্য বেশ দূর্বল হয়ে পড়েছে। সেই সুযোগে দ্বিতীয় সেনার আক্রমণ তারা কোণ ভাবেই প্রতিহত করতে পারেনি। সিংহলীরা পাণ্ড রাজ্য আক্রমণ করে পাণ্ড রাজধানী লুঠ করার সাথে সাথে তাদের থেকে লুঠ করা সোনার বৌদ্ধ মূর্তিকে পুনরায় ফিরিয়ে আনেন।২
চালুক্যদের ‘দ্বার রক্ষক’র মূর্তি ( Door-guardian)বিখ্যাত এক দেবতা। সেই দেবতাকে চোলরাজা রাজাধীরাজ চোল (১০১৮- ৫৪) চালুক্য রাজ্য আক্রমণ করে রাজা প্রথম সোমেশ্বর কে পরাজিত করেন। তার রাজধানী লুঠকরার সময় সেই বিশালাকার ব্লাকস্টোনের Door guardian এর মূর্তিকে লুঠকরে রাজধানী গোঙ্গোইকোণ্ডচোলপুরমে নিয়ে যান এবং সেটাকে Trophy of war হিসাবে প্রদর্শন করেন। এখানে আমাদের মনে রাখতে হবে যে Door guardian এর মূর্তিটি ও চালুক্য রাজা বিজয় রাজেন্দ্র কল্যাণপুর রাজধানী লুঠকরে পুড়িয়ে দেওয়ার সময় নিয়ে এসে নিজের রাজ্যে বসিয়ে ছিলেন।
একইভাবে তালিললাড়ুর ‘বাতাপি গনপতি’র মূর্তি যা গনেশের মূর্তি হিসাবে খুব পরচিত, সেই বাতাপি গনপতির মূর্তি কে লুঠকরে এনেছিলেন পল্লব রাজা প্রথম নরসিংহ বর্মন(৬৩০-৬৬৮)। সেই বাতাপি গনপতির মূর্তিকে চান্দেল্ল রাজা যশোবর্মণ পল্লব রাজ্য আক্রমন করে লুঠকরে আনেন। খাজুরাহোতে যশোবর্মন যে বিখ্যাত লক্ষণ মন্দির নির্মান করেন সেখানে সেই বাতাপি গনপতির মূর্তিটিকে বসান।
খাজুরাহোতে চান্দেল্ল রাজা যশোবর্মণ যে বিষ্ণু-বৈকুণ্ঠের মূর্তি বসিয়েছেন সেই মূর্তিটিও লুঠকরা সামগ্রী। সেই লুঠের ইতিহাস টি ও বেশ চমৎকার। এই বিষ্ণু-বৈকুণ্ঠের মূর্তিটি প্রথম ছিল তিব্বতীতেদের দেবতা। এই দেবতাকে তিব্বতীরা আবার কৈলাশ পাহাড় থেকে এটা এনেছিল, কাংড়ার শাহী রাজা বন্ধুত্ত্বের সূত্রে তীব্বতীদের কাছ থেকে পায়। কিন্তু সেই মূর্তি এবং হাতি ও অনান্য সামগ্রী আনার সময় প্রতিহার রাজ হেরম্বপাল তা দখল করে নেয়, উত্তরাধিকার সূত্রে তার পুত্র প্রতিহার রাজ দেবপাল তা অধিকারী হয়। কিন্তু চান্দেল্ল রাজা যশোবর্মণ প্রতিহারদের যুদ্ধে হারিয়ে দিয়ে সেই বিষূ-বৈকুণ্ঠের মূর্তিকে খাজুরাহোর সেই বিখ্যাত লক্ষন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন।
বিজয়নগর রাজ্যের রাজা কৃষ্ণদেব রায়(১৫০৯-১৫২৯)গজপতি শাসক প্রতাপরুদ্রের উদয়গিরী আক্রমণ করেন। যুদ্ধে প্রতাপরুদ্রকে পরাজিত করে সেই রাজ্যের বিখ্যাত বালাকৃষ্ণের মূর্তিকে লুঠকরে নিজের রাজ্যে নিয়ে যান।এই মূর্তিটি প্রায় তিন ফুট লম্বা। উদয়গিরী এলাকার সবুজাভ কালো গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরী এই মূর্তি। সেই মূর্তিটি বসানোর জন্য কৃষ্ণদেব রায় বিখ্যাত কৃষ্ণভামী মন্দির নির্মাণ করেন সেই উদয়গিরী মন্দিরের আদলে। এছাড়াও কৃষ্ণদেব রায় বিজাপুরের আদীলশাহী রাজ্য আক্রমণ করে ভিত্তালার মূর্তিটিকে লুঠ করেছিলেন।
রাষ্ট্রকুট রাজ তৃতীয় গোবিন্দ তিনি তাঁর সাম্রাজ্যবাদী শাসনের জন্য স্মরনীয় হয়ে আছেন। তৃতীয় গোবন্দ যখন কাঞ্চিপুরম আক্রমণ করে দখল করে নেন সেই ভয়েই ভীত হয়ে শ্রীলংকার রাজা অষ্টম আজ্ঞাবোধী সোনার দুটি বুদ্ধের মূর্তি রাষ্ট্রকুট রাজধানী মান্যক্ষেতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে রাজধানীর শিব মন্দীরে এই দুটি মূর্তিকে বসিয়েছিলেন। এই মূর্তি দুটিকে বর্ণনা করা হয়েছে ‘ Two Buddha Images displayed like pillar of fame’ .
দক্ষীন ভারতের শক্তি চালুক্য ও রাষ্ট্রকুটরা গঙ্গা ও যমুনার মূর্তি উত্তরভারতের প্রয়াগ ও কাণ্বকুজ্বের মন্দির থেকে এই দুই মূর্তিকে লুঠকরে নিজেদের রাজ্যে নিয়ে গিয়েছিলেন। অন্যের লুঠকরা মুর্তী ও অনান্য সামগ্রীদিয়ে নিজের রাজ্য সাজানোর ক্ষেত্রে ইতিহাস তৈরী করে গেছেন চোলরাজ রাজেন্দ্র চোল। তিনি চালুক্যদের থেকে লুঠকরেছিলেন sun temple, several images of Duroga &Ganesh. পূর্ব চালুক্য থেকে a resting Nanadi, shiva’s bull mount. উড়িষ্যার কলিঙ্গ থেকে তিনটি বিশালাকার পাথরের মূর্তি- ভৈরব, ভৈরবী এবং বিখ্যাত আট হাতের কালি মূর্তি। বাংলার পালদের থেকে শিবের ব্রোঞ্জ মূর্তি। আমরা দেখতে পাচ্ছি যখন পারমার শাসক রাষ্ট্রকুট রাজধানী মান্যখেত আক্রমণ করে কিংবা চোলরা চালুক্যদের রাজধানী কল্যান দখল করে প্রতিক্ষেত্রে তারা মন্দির এবং তাদের দেবতাকে রেহাই দেয় নি, সেই মন্দির ও দেবতাকে লুঠকরা, অপবিত্র করা এবং কখনো কখনো ধ্বংসও পর্যন্ত করেছেন। অতএব হিন্দু মন্দির বা দেবতাদের লুঠের ঘটনা ভারতে যে মুসলিম শাসনে নতুন কিছু ঘটনা নয়, ভারতে অতীত কাল থেকে ঘটে আসা ঐতিহাসিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাত্র। কিন্তু আমাদের দেশের হিন্দু মৌলবাদী শক্তি মুসলিম শাসকদের এই ঘটনা গুলি উল্লেখ করে তাতে ধর্মীয় রঙ দিয়ে সাম্প্রদায়ীয় বিদ্বেষ ছড়ানোড় চেষ্টা করছেন।
কিন্তু বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে আমরা ইতিহাসকে দেখবো সমাজ কে আরো উন্নত করার লক্ষ্যে। সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে যদি আমরা বিচার করি তাহলে আমাদের ভাবতে হবে ভারতের অতীতে কোন রাজা বা শাসক কিংবা কোন ধর্মীয় শক্তি যদি বিধর্মীদের উপর অত্যাচার বা তাদের ধর্মীয়স্থানের কে লুঠ, ধ্বংস বা অপবিত্র করে থাকলে নিশ্চয়ই তা অন্যায় করেছেন। সেই কাজ কে অবশ্যই ধিক্কার জানানো উচিত। কিন্তু সময়ের অগ্রগতীর সাথে সাথে সমাজ ও অনেক দূর এগিয়েছে। মানুষের চিন্তা চেতনা, জ্ঞান, বিজ্ঞান, যুক্তি-বোধ রুচি, সংস্কৃতি সমস্ত কিছুই। তাহলে এখনো যদি আমরা অতীতের মতই একে অপরের ধর্মীয়স্থান দখল বা লুঠ বা ধংস করতে থাকি তাহলে অতীত থেকে আমরা কি শিক্ষা নিলাম? বর্তমান সময়ে যার যেখানে ক্ষমতা আছে সেখানে বিধর্মীদের উপর ব্যপক অত্যাচার ও লুঠ করা কি সমাজ অগ্রগতীর লক্ষণ না ধর্মীয় রঙ না দেখে মানুষের কল্যাণে কাজ? কোন টা? সেই টা আগে আমাদের ভাবতে হবে। আমরা পুষ্যমিত্র শুঙ্গের বা শশাঙ্কের সময়ে ফিরে যাব না বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ এর আদর্শ কে পাথেয় করব, কোনটা? আমরা যদি বর্তমানে পৃথিবীর সমস্ত উন্নত দেশের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো তারা প্রত্যেকেই ধর্মকে ব্যক্তিগত জীবন থেকে বা নিজেরদের চাওয়া পাওয়ার থেকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে। তবেই তারা এত উন্নত। যেমন ইংল্যান্ড, আমেরিকা , চিন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, জার্মানীর প্রায় ৫০-৭৫% মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে নিরীশ্বরবাদী। তাদের দেশের সরকার বা শাসক শ্রেনি ধর্মের ব্যাপারে এত বেশি মাথা ও ঘামায় না। আর আমাদের ভারতের মাত্র শতকরা ৬% মানুষ নিরীশ্বরবাদী। আর আমাদের সরকার ও ধর্মের ব্যাপারে খুব উতসাহী। এখানে ধর্মই অনেকটা রাজনীতির ভিত্তি। তাই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের উচিত হবে একে অন্যের ধর্মের বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উপর আঘাত না করে প্রাচীন মধ্যযুগীয় সেই ধর্মীয় চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে ধর্মকে পিছনে ফেলে বিজ্ঞানকে পাথেয় করে সমাজ কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তথ্য সূত্র-
১। Richard H Davis - Indian Art Objects as Loot
২। Richard M Eton - Temple desecration and Muslim state in Mediaval india
৩। D.N . jha – Against the grain notes on identity, intolerance and history