কবিতা পড়ছিলাম। আখতারুজ্জামান সুমনের। আটকে গেলাম একটি কবিতায় এসে। কবিতার নাম "মানুষ হব কবে" । কয়েকটি পংক্তি তুলে ধরছি এখানে। তারপর কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা।
মানুষ হব কবে।
~~~
"আমি মানুষ হব কবে?
আরো বিদ্যা বুদ্ধি নাকি
আরো রূপস বা ধনশ্রী হলে?
ধনে আমি কম কি হে
পারে কি কেউ ঠেলে দিতে?
দীনকে ছোটোলোক বলি
এড়িয়ে চলে যাই ঘৃণে।
বিদ্যায় আমি জাহাজ এক
পেরে উঠে কি কেউ তর্কে?
অন্যের দোষ ধরি আমি
দেই না তেল নিজ চক্রে ........."।
সত্যিই আজকের দিনের খুবই প্রাসঙ্গিক এবং জরুরি প্রশ্ন- আমরা মানুষ হব কবে ?
সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। আকৃতির দিক থেকে অনেক বিশালাকার শক্তিধর প্রাণী থাকা সত্ত্বেও মহান স্রষ্টা মানুষকে পৃথিবীর সেরা সৃষ্টি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যার জন্য আজ জগত জুড়ে রাজত্ব চলছে মানুষের। সারা বিশ্বজগতের উন্নতি, অবনতি, পরিবর্তন, পরিবর্ধন তথা সভ্যতার সকল বিকাশ মানুষের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। মানুষ যুগ যুগান্ত পেরিয়ে ক্রমান্বয়ে তাদের জীবনপ্রণালি প্রাগ্রসর সভ্যতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানের মানুষরা চলমান এই অবস্থানে এসে পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার বছর সময় অতিক্রম করে এসেছে। তারপরও পৃথিবীতে নাস্তিকতা, চরিত্রহনন, অধপতন, সন্দেহবাদ মানুষে মানুষে লেগেই আছে। চারদিকে বিভাজন, অবিশ্বাস প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে। কিন্তু কেন? আমরা কী মানুষ নই! তাহলে 'মানুষ হব কবে?'
মানুষ একমাত্র তার বিবেক-বুদ্ধির জন্যই সৃষ্টির সেরা জীব। এই ক্ষমতাটি শুধু মানুষেরই আছে। আর তাই সাধারণভাবে বলতে গেলে, মানুষের বিবেক-বুদ্ধির মাধ্যমে কোনো কিছুর বিচার করাকেই মানবতা বলে।
বলা হয় মানবতা পশুত্বের বিপরীত বৈশিষ্ট্য। তাই অপরের সুখে, দুখে, আনন্দে, বেদনায় কারো মধ্যে একই, কমন অনুভূতি কাজ করে থাকে, সেই স্তরকে মানবতা বলা যেতে পারে।
এই জায়গায় আমার একটি আপত্তি রয়েছে। তা হচ্ছে অমানবিক কর্মকান্ডকে কেন পশুত্ব বলা হবে ? গভীর অগভীর বনজঙ্গলে যত পশু বসবাস করে, কেবলমাত্র আজকের ক্ষুধা নিবারণের জন্য আবশ্যক শিকার প্রকৃয়া ব্যতিরেকে কোনো জানোয়ার কোনো ধরনের অমানবিক কর্মকান্ড সংগঠিত করেছে- এমন কোনো তথ্য আজ পর্যন্ত কোনো প্রাণী বিজ্ঞানী প্রকাশ করেন নি। তার সোজা অর্থ হলো- অমানবিক কর্মকান্ড, হিংসা বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারি ইত্যাদি সহিংসতা কোনো ধরনের পশুর বৈশিষ্ট্য নয়, কেবল, এবং কেবলমাত্র মানুষ নামক প্রজাতির মধ্যেই এসব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
সে যাই হোক, মানুষ, মনুষ্যত্ব আর মানবতাবাদ নিয়ে জগতের সকল গুণীজন নানাভাবে, নানা আঙ্গিকে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। বাঙালি জাতিসত্ত্বার সার্বিক অভিব্যক্তি যার মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে বলে এক কথায় বাঙালি মাত্রেই ঐক্যমত, সেই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিস্তর আলোচনা করে গেছেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মূলত একজন কবি। তিনি কাব্যের ভাষা দিয়ে দর্শনকে, আর দর্শনের ভাষা দিয়ে কাব্যকে সাজিয়েছেন।
‘Religion of Man’ গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ মানুষ, মনুষ্যত্ব ও মানবতাবাদ বিষয়ে তাঁর অভিনব অভিমত ব্যাখ্যা করেছেন।
আধুনিক কালে দর্শন চিন্তা মানুষকে তার সমগ্র কর্মের বার্তা, তার সমগ্র অস্তিত্বের নিয়ামক রূপে নির্ধারন করে তাকে মর্যাদা দান করেছে। রবীন্দ্র মানস সেই ভাবনা দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। তাঁর উপলব্ধিতে মানবিক ঐশ্বর্যের ধরন অন্য প্রকার।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে মনুষত্বই হল মানুষের আসল ধর্ম। তিনি মানুষের দুটি দিকের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথমঃ যে বিষয় বুদ্ধি নিয়ে নিজের সিদ্ধি খোঁজে, সেখানে সে জীব হয়ে বাঁচতে চায়। আর দ্বিতীয়তঃ যে ব্যক্তিগত প্রয়োজনের সীমা ছাড়িয়ে ব্যক্তি স্বার্থের প্রবর্তনাকে অস্বীকার করে, সেখানে সে নিজের ব্যক্তিগত জীবের চেয়ে বড়ো জীবনে বাঁচতে চায়।
মানবতাবাদ হল আসলে দ্বিতীয় পদক্ষেপ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষের ধর্মগ্রন্থে মানুষের অন্তর দেবতার স্বরূপ এক ও অদ্বিতীয় মানুষের কথা নানাভাবে ব্যক্ত করেছেন। আর সেই পূর্ন মানব স্বরূপের মধ্যেই তিনি মনুষত্ব ও মতবতাবাদকে খুঁজে পেয়েছেন। তিনি সত্যের, আনন্দের রূপকে বাস্তবের মানবদেহ পটে মুক্তি লাভ করতে দেখেছেন। তাই রবীন্দ্র অনুভূত মানবতাকে মর্ত ও অর্মতের মেল বন্ধন বলা চলে।
গভীর বিশ্বমানবতার মোহে উদ্দীপিত রবীন্দ্রনাথ বুঝিয়েছেন মনের মধ্যে মানবতার প্রদীপ জ্বেলে মানবযাত্রী এগিয়ে চলেছে যুগ যুগান্তর ধরে- সত্যের খোঁজে।
হ্যাঁ, মানবতাই হচ্ছে মানুষের বৈশিষ্ট্য। মানুষের জন্য ভালবাসা, মানুষের জন্য সমবেদনা, স্নেহ মমতার নামই মানবতা । মানবতা কথাটার অনেক গভীর তাত্পর্য রয়েছে। সাধারণ দৃষ্টিতে মানবতা হলো মানুষের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য, যার দ্বারা একজন মানুষ পুর্নাঙ্গ মানুষে পরিণত হতে পারে । এক কথায় মানবতা হলো- মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসা, স্নেহ-মায়া-মমতা।
মানবতা কি আপেক্ষিক ? আসলে এটা আপক্ষিক না হলেও আমরা এটাকে আপেক্ষিক বানিয়ে ফেলেছি । স্থান, কাল, ধর্ম ইত্যাদির উপর নির্ভর করে মানবতার রূপ ভিন্ন হতে পারে। এজন্যই, আমরা শহরের গলিতে চক্কর কেটে বেড়ানো ছেলেটিকে যখন দেখি ধাবার ডাস্টবিনে খাবার খুঁজছে, যখন ক্ষুধার তাড়নায় ভিক্ষার জন্য কারো সামনে হাত পাতছে, তখন আমাদের পারিপার্শ্বিকতায় মানবতার অবক্ষয় খুঁজে পাই না। কিন্তু হাজার কিলোমিটার দুরের কোনো এক শিশুর জন্য আমাদের মানবতা উথলে পড়ে ! প্রকৃতার্থে এটাই হলো মানবিক অবক্ষয়। আগে আপন পরিমণ্ডলের ধুলোমাখা অভুক্ত ছেলেটির ক্ষুধা নিবারণ যদি করতে না পারলাম, তাহলে কি অধিকার আছে দূরের, সেই সুদূরের ব্যথিত মানুষের অবস্থা নিয়ে মাথা ঘামানোর ?
হ্যাঁ, অবক্ষয়ের কথা বলছিলাম, মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কথা। প্রথমেই আমাদের অনুধাবন করতে হবে মূল্যবোধ কি এবং মানবিক মূল্যবোধ কি ? মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সামাজিক পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক নিয়ম। এই পরিবর্তন ইতিবাচক হতে পারে। আবার নেতিবাচকও হতে পারে। ইতিবাচক পরিবর্তনও ঘটে দুইভাবে- বস্তুগত ও মনোজাগতিক। বস্তুগত পরিবর্তন ইতিবাচক হলে স্বাভাবিকভাবে সেটাকে উন্নয়ন বলা চলে। এই উন্নয়নকে টেকসই করার জন্য প্রয়োজন ইতিবাচক মনোজাগতিক পরিবর্তন। মনোজাগতিক ধনাত্মক অবস্থানকেই বলা যেতে পারে মানবিক মূল্যবোধ। এই অবস্থানের পরিবর্তনই হচ্ছে মূল্যবোধের পরিবর্তন। পুরোনো মূল্যবোধের বদলে নতুন মূল্যবোধের প্রবর্তন বা প্রচলন হয় সময়ের ধারাবাহিকতায়। নতুন মূল্যবোধ বললেই সেটা খারাপ কিছু নয়। কিন্তু যদি সেটা ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রজীবনে অকল্যাণকর হয়, মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করে তবে সেটাকে গ্রহণযোগ্য মনে করা ঠিক নয়।
ঢালাওভাবে নতুন মূল্যবোধে আকৃষ্ট হওয়া ও পুরোনো মূল্যবোধকে বিসর্জন দেওয়া থেকেই মূল্যবোধের অবক্ষয় সূচিত হয়। প্রতিটি সামাজিক পরিবর্তনের সাথে মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটে। নতুন মূল্যবোধে বিশ্বাসী হওয়ার আগে তাই সেটার যথার্থতা যাচাই করা আবশ্যক।
সামাজিক মূল্যবোধ তথা ধৈর্য, উদারতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, ন্যায়পরায়ণতা, শৃঙ্খলা, শিষ্টাচার সৌজন্যবোধ, নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়, নান্দনিক সৃষ্টিশীলতা, দেশপ্রেম, কল্যাণবোধ, পারস্পরিক মমতাবোধ ইত্যাদি নৈতিক গুণাবলি লোপ পাওয়ার কারণেই সামাজিক অবক্ষয় দেখা দেয়। যা বর্তমান সমাজে প্রকট।
সামাজিক মূল্যবোধ তথা সততা, কর্তব্য পরায়নতা, নিষ্ঠা, ধৈর্য, উদারতা, শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধ, নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়, ইত্যাদি গুণাবলী নষ্ট হয়ে যাওয়াটাই সামাজিক অবক্ষয় । অবক্ষয়ের দিকে তাকালে দেখা যায় মানবিক অবক্ষয়, সামাজিক অবক্ষয়, মূল্যবোধের অবক্ষয়, নৈতিকতার অবক্ষয়, জাতীয় আদর্শের অবক্ষয়- ইত্যাদি নানা ধরনের অবক্ষয়ে আজ সমাজ দেহ প্রবলভাবে আক্রান্ত।
মানুষের মানবিকতার উত্কর্ষতা নির্ধারিত হয় জগতে বিরাজমান সমস্ত জীবের প্রতি আচরণের নিরিখে। মানুষের নৈতিকতা, দায়দায়িত্ব, কর্তব্যপরায়নতার বহিঃপ্রকাশ হয় এই মহান আদর্শের মধ্য দিয়ে। সুতরাং নিঃসংকোচে একথা বলাই যায় যে, মানবতা কোনো মতবাদ নয়, এটি একটি আদর্শ ।
যুগের পরিবর্তনে মানুষের মূল্যবোধের পরিবর্তন হতে পারে। পরিবর্তন হয়েও থাকে। কিন্তু সেই পরিবর্তন যদি মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে, তবে সেটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। সমকালীন সময়ে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে যে আচরণগত পরিবর্তন ঘটে চলেছে, তা মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার অনুকূল নয়। সন্তানের সাথে পিতা-মাতার সম্পর্ক, স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক, সুপ্রতিবেশি সুলভ সম্পর্ক, সামাজিক বন্ধন বা বন্ধুত্বের সম্পর্ক ইত্যাদি এখন ক্রমশ বৈষয়িক বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট হয়ে উঠছে। আত্মস্বার্থ কিংবা আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি বড় অন্তরায়। ব্যক্তি এখন নিজেকে নিয়ে এতো অধিক মাত্রায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, সম্পর্কগুলো ক্রমশ মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু পারিবারিক নয়, এক ধরনের সামাজিক সংকট তৈরি করছে। ব্যক্তিচিন্তায় মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটলে ব্যক্তির নৈতিক অবস্থানও দুর্বল হয়ে পড়ে। ব্যক্তি তখন আপোষকামী হয়ে যায়। অন্যায়ের সাথে আপোষ করে চলাই তখন হয়ে উঠে বুদ্ধিমানের(?) কাজ ! এই আপোষকামী মনোভাব বর্তমান সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে। চারিদিকে মেরুদণ্ডহীন মানুষের নিরন্তর ছুটাছুটি। হঠাৎ কেউ স্রোতের বিপরীতে দাঁড়ালে তাকে শক্তি জোগানোর জন্য পাশে দাঁড়াবে- এমন মানুষের অভাব সর্বত্র।
আমাদের পারিপার্শ্বিক সমাজ, দেশ ও জাতিকে এই সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখ্যনীয় বিষয় হচ্ছে শিক্ষা। সুশিক্ষার ব্যাপক বিস্তারের মাধ্যমেই হয়ে উঠে মনুষ্যত্বের বিকাশ। মানুষরূপে জন্ম নিলেই মানুষ হয়ে উঠা হয় না। মনুষ্য সন্তানকে কঠিন সাধনা করে তবেই মানুষ হতে হয়। আর মানুষ হওয়ার বিশেষ সোপান হল শিক্ষা। শিক্ষাই মানুষকে জীবসত্তা থেকে মানবসত্তায় পরিণত করে। শিক্ষাই মানুষকে সর্বাঙ্গীনরূপে বিকশিত করে তোলে। প্রকৃত মানুষ হতে হলে তাই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে হবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা, আর সমস্তটাই তার অধীনে"। তাই মানুষ হিসেবে অন্য মানুষের অধিকার, কর্তব্য, দায়িত্ব এবং মর্যাদা সম্পর্কে আমরা সবাই সচেতন হলে মনুষ্যত্বের শিক্ষালাভও সহজ হয়ে উঠবে।
প্রাসঙ্গিকভাবে মনে পড়ে বালক বেলায় পড়া কবি কুসুমকুমারী দাশের সেই কবিতাটি- ‘আদর্শ ছেলে’, যার প্রারম্ভিক লাইন দুটো-
"আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় কাজে বড় হবে"।
অর্থাৎ একজন আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য এমন কিছু আদর্শ জরুরি, যা মানুষে মানুষে জাগ্রত করে প্রেম, খুলে দেয় সুখ সমৃদ্ধির দুয়ার, অমানুষগুলো হয়ে উঠে পরিশুদ্ধ ঝকঝকে স্বচ্ছ খাঁটি। এবং অতি স্বাভাবিক ভাবেই এসব গুণাবলি অর্জিত হয় সুশিক্ষার মাধ্যমে। মূলকথা মানুষ হওয়াটাই জরুরি। সুতরাং সকল ধর্ম বর্ণ, সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রতি জানাই সনির্বন্ধ আহ্বান- আসুন, আমরা মানুষ হই। আর 'মানুষ' হবার জন্য আবশ্যক সর্বাত্মক হিংসা-প্রতিহিংসা মূলক আচরণ ত্যাগ করে বিতরণ করি কেবল প্রেম আর ভালোবাসা। আন্তরিক উষ্ণতায় ভরে উঠুক আগামীর পৃথিবী। আমাদের উত্তর প্রজন্ম।
আমরা যেন ভুলে না যাই কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত'র লিখা 'মানুষ জাতি' কবিতার সেই উক্তিঃ
"জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে
সে জাতির নাম মানুষ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি শশী মোদের সাথী।"